পরিবার পরিকল্পনা বিভাগীয় কার্যক্রমের ফলে বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশ বিভিন্ন জনমিতিক সূচকে অভাবনীয় অগ্রগতি সাধন করেছে – যেমন:
- পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার কারীর হার ১৯৭৫-এর ৭.৭% থেকে ২০১৭ সালে ৬৩.৯% এ উন্নীত হয়েছে( SVRS – 2020)
- মোট প্রজনন হার বা নারী প্রতি গড় সন্তান জন্মদানের হার ১৯৭৫ সালের ৬.৩ থেকে ২০১৭ সালে ২.০৪ এ হ্রাস পেয়েছে( SVRS – 2020)
- পরিবার পরিকল্পনার অপূর্ন চাহিদার হার ২০০৭ সালের ১৭.৬০ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে( BDHS-2018)
- মাতৃমৃত্যুর অনুপাত(প্রতি হাজার জীবিত জন্মে) ২০০৪ সালে ছিল ৩.২০ জন যা বর্তমানে হ্রাস পেয়ে ১.৬৩ হয়েছে( SVRS – 2020)
- নবজাতকের(০-২৮দিন) মৃত্যু(প্রতি হাজার জীবিত জন্মে) ১৫ জন( SVRS – 2020)
- ০-১ বছর বয়সী শিশু মৃত্যুর হার ( প্রতি হাজর জীবিত জন্মে) ২০০৬ সালে ছির ৫২ জন , যা ২০২২ সালে হ্রাস পেয়ে ২১ হয়েছে( SVRS – 2০19)
- ০-০৫ বছর বয়সী শিশু মৃত্যুর হার ( প্রতি হাজর জীবিত জন্মে) ২০০৬ সালে ছির ৬৫ জন , যা ২০২২ সালে হ্রাস পেয়ে ২৮ হয়েছে( SVRS – 2020)
- প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেবাদানকারীর সহায়তায় শিশু জন্মের হার ২০১১ সালের ৩২% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৬ সালে ৫৩% এ উন্নীত হয়েছে(BDHS-2017)
- জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৯৭৪ এর ২.৬১% থেকে ২০২২ সালে ১.২২%স এ হ্রাস পেয়েছে( বিবিএস- ২০২২)
- প্রত্যাশিত গড় আয়ু ১৯৯১ সালের ৫৬.১ থেকে ২০২০ সালে বৃদ্ধিপেয়ে ৭২.৮( পুরুষ-৭১.২; মহিলা ৭৪.৫)বছর হয়েছে( SVRS – 2020)
পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সাফল্য বেশ উল্লেখযোগ্য। এই বিভাগের মাধ্যমে গর্ভনিরোধক ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের হার কমেছে। এর পাশাপাশি, মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুমৃত্যু হ্রাস পেতে সহায়তা করেছে।
আরো বিস্তারিত:
-
গর্ভনিরোধক ব্যবহারের সুযোগ বৃদ্ধি:পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাধ্যমে গর্ভনিরোধক ব্যবহারের সুযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক নারী এখন তাদের পরিবার পরিকল্পনা করতে পারছেন। এতে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের হার কমেছে, যা মাতৃস্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক.
-
জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা:পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমানো সম্ভব হয়েছে। ফলে দেশের উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সাহায্য করেছে.
-
মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুমৃত্যু হ্রাস:পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির মাধ্যমে গর্ভনিরোধক ব্যবহার, প্রসবের আগে ও পরে চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুমৃত্যু কমেছে.
-
সচেতনতা বৃদ্ধি:পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ বিভিন্ন প্রচার ও কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে। এর ফলে মানুষ পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পেরেছে এবং নিজেদের পরিবারকে সুস্থ রাখতে সক্ষম হয়েছে.
-
বেসরকারি সংস্থা ও উদ্যোগের ভূমিকা:সরকারের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পাশাপাশি বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোগ পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করেছে।